দিল্লির নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ছোট ভাই' অরবিন্দ কেজরিওয়ালের হার হয়েছে। এই ফলাফলে বেশ উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বে। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, এবার বাংলার বাঙালিরা বিজেপিকে জেতাবে। আবর শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, দিল্লিতে ৪০ শতাংশ মুসলিম ভোটার আসনে বিজেপি জিতেছে। এই সব মন্তব্যের মাঝেই তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, ২০২৬ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কোনও প্রভাব বাংলায় পড়বে না। এরই সঙ্গে তৃণমূল ক'টি আসনে জিততে পারে, তা নিয়েও তিনি পূর্বাভাস করেছেন। (আরও পড়ুন: CM হবেন কি না ঠিক নেই, তবে দিল্লিত✱ে BJP স♊রকারের 'অগ্রাধিকার' জানালেন পরবেশ)
আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালকে ⭕হারিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন বিজেপির পরবেশ? জল্পনা তুঙ্গে
এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল লেখেন, '২০২৬। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেস ২৫০ প্লাস। চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি কোথায় কী হল, আমাদের বিষয় নয়। দিল্লির বিষয় দিল্লিতে। এখানে কোনও মন্তব্য নেই। বাংলায় ওসবের প্রভাবও নেই।' (আরও পড়ুন: 'সততার শংসাপত্র' চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল, AAP সুপ্রিমোর 'আর্জি খারিজ' দ🀅িল্লিবাসীর)
আরও পড়ুন: কী কারণে হার? দিল্লির ফল নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেজরি ঘনিষ্𓂃ঠ সিস💧োদিয়া বললেন…
উল্লেখ্য, বিগত একদশকে দিল্লির গদিতে ছিল কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ২০১৫ এবং ২০২০ সালের ভোটে তো কার্যত ঝাড় ঝড় তুলেছিল তারা। তবে ২০২৫ সালের নির্বাচনের আগে একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছিল কেজরিকে। নিজে তিনি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত। এর জন্যে তিনি জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। এর আগে দুর্নীতির দায়ে আপ হেভিওয়েট মণীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈনরা জেলে গিয়েছিলেন। যে আপ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যে জন্ম নিয়েছিল, তারাই দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত হয়ে পড়েছিল। এই আবহে এই নির্বাচনে পদ্মপাঁকে আটকে যায় ঝড় থেমেছে ঝাড়ুর। (আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত লাভের জন্য ꦑলড়িনি’,CM হওয়ার দৌড়ে থাকা রমেশ বিধুরী হারলেন অতিশীর কাছে)
আরও পড়ুন: ম💞দের ইস্যুতে ভেসে গেলেন কেজরিওয়াল? AAP নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য আন্না হাজারের
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বর্তমানে বিজেপি দিল্লির ৪৯টജি আসনে এগিয়ে আছে, যা কি না ম্যাজিক ফিগারের থেকে ১৩টি আসন বেশি। এদিকে আম আদমি পার্টি এগিয়ে ২১টি আসনে। কংগ্রেস এখনও শূন্যে দাঁড়িয়ে। আম আদমি পার্টির হেভিওয়েট নেতা - সৌরভ ভারদ্বাজ, সত্যেন্দ্র জৈনরা পিছিয়ে আছেন নিজেদের আসনে। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে নয়াদিল্লি আসন থেকে হেরে গিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নির্বাচনে এই নয়ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚাদিল্লি আসনেই তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। সেই আসনে তিনি নিজে পিছিয়ে। এই আবহে বিজেপি ২৭ বছর পর ফের একবার দিল্লিতে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।