চিনে গ♔িয়ে ভারতের উত্তর পূর্বের ৭ রাজ্য নিয়ে একটি মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। তা নিয়ে সদ্য ঢাকা সাফাইও দিয়েছে। এদিকে, ইউনুসের সেই মন্তব্যের 'পাল্টা' হিসাবে কার্যত কৌশলী মেজাজে জোরালো জবাব দিয়েছে দিল্লি। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর এদিন সেভেন সিস্টার্স নিয়ে এক বক্তব্য পেশ করেছেন। বিমস্টেক ঘিরে জয়🦂শংকরের সেই বার্তা ভারত-বাংলাদেশ কূটনীতিতে বেশ তাৎপর্যবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।
ব্যাঙ্ককে রয়েছে ‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টোরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো অপরেশন’ (BIMSTEC)। সেই সম্মেলনে যোগ দিত🍸ে ব্যাঙ্কক রওনা হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনে থাকতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। আর এই দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক নিয়ে খুবই আশাবাদী বাংলাদেশ। এদিকে, সদ্য চিন সফরে গিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক আলোচনায় একটি মন্তব্য করেন। যে মন্তব্যে তিনি দাবি করেন, ভারতের উত্তর পূর্বের ৭ রাজ্য স্থলভাগ পরিবেষ্টিত, ফলত এলাকার ‘সাগর পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা তাদের নেই’। এমন দাবি করে তিনি চিনের൲ কাছে বলেন, এলাকায় বাংলাদেশই ‘সাগরের একমাত্র অভিভাবক’। ঢাকার দাবি, তাদের প্রধান উপদেষ্টা সম্পূর্ণ সৎ উদ্দেশ্যে এ কথা বলেছেন। ঢাকার তরফে,ড. খলিলুর রহমান বলেন, এখন যদি কেউ অন্য কোন ব্যাখ্যা দেন তাহলে তো কিছু করার নেই।
এরপর ময়দানে আসে এস জয়শংকরের বার্তা। তিনি বলেন,' সর্বোপরি, আমাদের বঙ্গোপসাগরে দীর্ঘতম উপকূল𝐆রেখা রয়েছে, প্রায় ৬,৫০০ কিলোমিটার। ভারত কেবল পাঁচটি বিমসটেক সদস্যের সাথেই সীমান্ত ভাগ করে না, তাদের বেশিরভাগকেই সংযুক্ত করে, বরং ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আসিয়ানের মধ্যে সংযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশও প্রদান করে।' কৌশলী বার্তায় জয়শংকর বলেন,' বিশেষ করে আমাদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলটি বিমসটেকের জন্য একটি সংযোগ কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে, যেখানে সড়ক, রেলপথ, জলপথ, গ্রিড এবং পাইপলাইনের অসংখ্য নেটওয়ার্ক রয়েছে।' তিনি বলেন,'আমরা সচেতন যে এই বৃহত্তর ভৌগলিক ক্ষেত্রে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য আমাদের সহযোগিতা এবং সুবিধা প্রদান একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত।' তিনি বলেন,'এই ভূ-কৌশলগত বিষয়টি মাথায় রেখে, আমরা গত দশকে BIMSTEC-কে শক্তিশালী করার জন্য ক্রমবর্ধমান শক্তি এবং মনোযোগ নিবেদিত করেছি।'