এবার টানা দু’মাস পদ্মার ইলিশ মাছ মিলবে না এপার বাংলায়। এখন বাংলাদেশের পরিবেশ–পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সেখানে এখনও অশান্তির আবহ বিদ্যমান। ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে নাগর🎃িকরা। অবৈধ অনুপ্রবেশ করার জন্য ধরাও পড়ছে। 💦কিন্তু বদলের বাংলাদেশে ইলিশ মাছ রক্ষার জন্য পদ্মা এবং মেঘনা নদীতে টানা দু’মাস (মার্চ এবং এপ্রিল) ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। অভয়াশ্রম ও জাটকা রক্ষা কর্মসূচি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের জেলেদের জন্য এই দু’মাস চাল বরাদ্দ করা হবে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে।
ওপার বাংলায় এমন নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় ইলিশ মাছ আসবে না এপার বাংলায়। ফলে পদ্মা–মেঘনা নদীর ইলিশ মাছ থেকে বাংলার নতুন বছরে বঞ্চিত থাকবে এপার বাংলা। তার মধ্যে দোল উৎসব আছে এপার বাংলায়। তখনও মিলবে না ইলিশ মাছ। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা, এখন কোনও মাছ কেনাবেচা, পরিবহণꦕ এবং মজুত করা সর্ম্পূণ নিষিদ্ধ থাকবে। আইন অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মৎস্য আইনে দু’বছর কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা দুই দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই পদ্মা নদী সংলগ্ন জেলাগুলিতে এবং মেঘনা নদীর পশ্চিমে ভাসমান মৎস্য আড়ত ও জেলে পাড়ায় মাইকিং করে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
এই ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মাছের আড়ত থেকে বাজার সব জায়গায় এখন চর্চা তুঙ্গে। কারণ এই নিষেধাজ্ঞার জেরে সরাসরি রুটি–রুজিতে হাত পড়েছে। এই অবস্থায় অধিকাংশ মৎস্যজীবীরা তাঁদের মাছ ধরার নৌকা ডাঙায় তুলে রেখেছে। আবার অনেকে তাঁদের মাছ ধরার জালগুলি সারাবার কাজ করছে। নিষিদ্ধ সময়ে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের সংসার চালানো বেশ কঠিন। প্রায় ৪৩ হাজার মৎস্যজীবী এখন সংসার কেমন করে চালাবেন সেই ভাবনায় পড়েছেন। কার🍷ণ সব ধরনের মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে চিন আবার পদ্মার ইলিশ নিতে চায় বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মহম্মদ গোলাম মেহেদী হাসান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা–মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা এবং উপজেলা টাস্কফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে মিলবে বরাদ্দকৃত চাল। এই সব মৎস্যজীবীদের জন্য ৪০ কেজি করে (চাল ৪ মাস বিতরণ করা হবে।’ আর চাঁদপুর জেলার নৌ–পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমানের বক্তব্য, ‘বাংলাদেশে জাটক♔া সংরক্ষণ করতে চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ–পুলিশের প্রত্যেকটি ইউনিট দিন–রাত কাজ করবে।’