বাংলাদেশি সংখ্যালঘুদের ও🃏পর হামলা ইস্যুতে ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করেন সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও। এমনটাই জানালেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট𒆙ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস। তবে এই বিষয়ে আমেরিকা কী করছে বা স্টেট ডিপার্টমেন্টের মতামত ঠিক কী, তা নিয়ে জববা দিতে চাননি ট্যামি। বিষয়টিকে 'কূটনৈতিক আলোচনা সাপেক্ষ' অভিহিত করে তিনি প্রশ্নটি এড়িয়ে যান। উল্লেখ্য, এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন নিজে। সম্প্রতি তুলসি গ্যাবার্ড ভারতে এসে বাংলাদেশ নিয়ে সরব হন। এই আবহে স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে 'দেখে খেলার' নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২৪ সালের দিওয়ালির সময় (মার্কিন নির্বাচনের আগে) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বাংলাদেশ নিয়ে সরব হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে কমলা-বাইডেনকে তোপ দেগেছিলেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই বিষয়ে ট্রাম্প লিখেছিলেন, 'অশান্ত বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান ও অন্যান্য꧒ সংখ্যালঘুরা প্রতিনিয়ত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সেখানে লুঠপাট চলছে। আমি এর তীব্র ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আমি ক্ষমতায় থাকলে, এমন কখনও হত না। কমলা হ্যারিস ও জো বাইডেন আমেরিকায় এবং বিশ্বজুড়ে হিন্দুদের গুরুত্ব দেননি। ইজরায়েল থেকে ইউক্রেন, এমনকী আমাদের নিজেদের দক্ষিণ সীমান্তেও বিপর্যয় ঘটিয়েছে। তবে আমরা ফের আমেরিকাকে শক্তিশালী করব এবং শক্তির মাধ্যমেই শান্তি ফিরিয়ে আনব। আমরা হিন্দু মার্কিন নাগরিকদেরও কট্টর বামপন্থীদের ধর্ম-বিরোধী অ্যাজেন্ডা থেকে রক্ষা করব। আমরা আপনাদের স্বাধীনতার জন্য লড়ব। আমার প্রশাসনের অধীনে ভারত ও আমার ভাল বন্ধু নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও সুসম্পর্ক আরও মজবুত করব।'
এদিকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মদম্মদ ইউনুসের সঙ্গে মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। এর আগে ২০১৬ সালে ট্রাম্প জেতার পরে প্যারিসে এক অনুষ্ঠানে ইউনুস বলেছিলেন, 'ট্রাম্পের এই জয় সূর্য গ্রহণের মতো। কালো দিন আসছে। তা যেন আমাদের গ্রাস না করে, আত্মশক্তিকে দুর্বল না করে দেয়।' আর পরে যখন বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিল, তখন নাকি ইউনুসের নাম না নিয়েই ট্রাম্প বলেছিলেন, 'ঢাকার মাইক্রোফাইন্🍨যান্সের সেই ব্যক্তি কোথায়? শুনেছি, তিনি আমাকে হারাতে চাঁদা দিয়েছিলেন।' উল্লেখ্য, সেবার ট্রাম্প হারিয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটনকে। আর ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি বাংলাদেশের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে মার্কিন সফরে গিয়েও বিল ক্লিনটনের ফাউন্ডেশ♐নের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ইউনুস। সেখানে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের 'মাথা'কে চিনিয়ে দিয়েছিলেন ইউনুস। এহেন ইউনুস অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামতের চেষ্টা করেছেন। তবে মোদীর মার্কিন সফরের সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, 'বাংলাদেশের বিষয়টি মোদী দেখে নেবেন।' এই আবহে ইউনুস এখনও অস্বস্তিতে আছেন। এরই মাঝে বাংলাদেশকে ইউএইডের অনুদানও বন্ধ করে দিয়েছেন ট্রাম্প।