ꦯ শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মস্কো সফরের সময় তাঁকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েই, ভারতে আসছেন পুতিন। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিলের আলোচনা সভায় পুতিনের ভারত সফরের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন লাভরভ।
রাশিয়ান আন্তর্জাতিক বিষয়ক কাউন্সিল আয়োজিত ‘রাশিয়া এবং ভারত: একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক অধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুতিনের ভারত সফরের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। নয়া দিল্লি-মস্কো কৌশলগত সম্পর্কে নতুন পর্বের সূচনা হবে পুতিনের সফরে। তবে ঠিক কবে তিনি এদেশে আসবেন সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি। লাভরভ বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতের প্রশাসনিক প্রধানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুনর্নির্বাচিত হওয়ার পরে তাঁর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে রাশিয়ায় এসেছিলেন। সেকথা উল্লেখ করে লাভরভ বলেন, 'এবার আমাদের পালা।' (আরও পড়ুন: ⛎দামী পাক চাল খেয়ে বদহজম? ভারত থেকে ৫০০০০ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, দাম পড়বে কত?)
আরও পড়ুন:༒ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের রিপোর্ট নিয়ে বড় মন্তব্য ইউনুস সরকারের, বলা হল…
গত অক্টোবরে ‘ব্রিকস’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মোদী-পুতিন পার্শ্ববৈঠকও হয়েছিল সে সময়। তার আগে গত বছরেরই জুলাইয়ে রাশিয়া গিয়েছিলেন মোদী। সে সময়ই তিনি ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পুতিনকে। এখনও কাটেনি রাশিয়া-ইউক্রেন জট। আর এমন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেই ভারতে আসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধের আবহে প্রেসিডেন্টে ভারত সফর কার্যত তাৎপর্যপূর্ণ। বরাবরই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘর্ষের মাঝে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জে যখন একের পর এক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাব এনেছে, সেই আবহেও বিবাদ থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছে ভারত।প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০২৪ সালে একমাত্র নেতা ছিলেন যিনি মস্কো ও কিয়েভ সফর করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছেন। এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করবে, বিশেষ করে ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রেক্ষিতে। (আরও পড়ুন: ꧟‘রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাচ্ছে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাওয়া গোষ্ঠীগুলি’)
আরও পড়ুুন: 💙সংসদে মোদী! গেলেন, বসলেন, তাঁর নামে প্রশ্ন উত্থাপিত হলেও জবাব দিলেন না...
আরও পড়ুন: 💫বালোচ হুমকির মুখে পাকিস্তানে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করল চিন, দাবি রিপোর্টে
꧃প্রসঙ্গত, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ নেটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি রাশিয়াকে কূটনৈতিক দুনিয়ায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে। মস্কোর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে তাদের উপর একাধিক অর্থনৈতিক অবরোধও জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত। একই সঙ্গে, গত কয়েক বছরে একাধিক বার পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মোদী যুদ্ধ বন্ধ করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিবিড় কৌশলগত সম্পর্ক রাখলেও পুরনো মিত্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, সরাসরি এমন কোনও সিদ্ধান্তে সায় দেয়নি ভারত। যুদ্ধের আবহে মোদী দু’বার গিয়েছেন রাশিয়া সফরে।