শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১৪তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে শুরু হল বারুণী মেলা। এটি মতুয়া সম্প্রদায়ের মেলা হিসেবেও পরিচিত। প্রতি বছরই হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম তিথিতে উত্তর 🍎২৪ পরগনা ঠাকুরনগরে এই মেলা বসে। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ির কামনা সাগরে পুণ্যস্নান করেন লক্ষাধিক মতুয়া ভক্ত। তবে এই বিশেষ স্নান উপলক্ষে 🦹দূরদূরান্ত থেকে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ভিড় জমাতে শুরু করেন ভক্তরা।
এ বছর পুণ্যস্নানের তিথি পড়েছে মার্চ মাসের ২৭ তারিখে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার। এদিন পুণ্যস্নান তো চলবে꧙ই পাশাপাশি বসবে মেলাও। এই মেলা চলবে সাত দিন পর্যন্ত। রাজনৈতিক মতভেদ দূরে সরিয়ে রেখে ঠাকুরবাড়িতে মমতাবালা ঠাকুর এবং সুব্রত ঠাকুরের পরিবার যৌথভাবে এই মেলার আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: চৈত্র নবরাত্রিতে ৩ রাশির জাতকদের থাকতে হবে খুব সতর্ক, বিনিয়োগে আ♌ছে আর্থিক ঝুঁকি
ঠাকুরনগরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুণ্যস্নান। দেশে🥀র বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন মতুয়া ভক্তরা। ইতি🥃মধ্যেই পুণ্যস্নান সেরেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাছাড়াও বৃহস্পতিবার ঠাকুরবাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীকেও দেখা গিয়েছে।
অপর দিকে, এই মুহূর্তে লন্ডনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অনুপস্থিতিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হয়ে এই মেলায় যান রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি প্রথমে বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘরে গিয়ে, তাঁর মূর্তি🎀তে মালা দেন। তারপর হরিমন্দিরে প্রবেশ করে ঠাকুরের মূর্তিতে মালা দিয়ে, পুজো করেন।
দমকলমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘মুখ্যমন্⛎ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে আমি হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে ঠাকুরবাড়িতে এসেছি। পুজো দিয়েছি। খুব ভালো লাগছে।' পাশাপাশি রাজনীতি ভুলে দুই পরিবার যে একসঙ্গে মেলার আয়োজন করেছেন তাতে তিনিও খুশি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ঠাকুরের পুজোয় রাজনীতি হয় না। পুজো রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তাই সেখানে মিলে মিশে কাজ করাই উচিত।'
আরও পড়ুন: বুধাদিত্য যোগ ৪ রা🔜শিকে দেবে বিপুল লাভ, নবরাত্রির আগেই আসবে অর্থের জোয়ার
প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছিল মমতাবালা ঠাকুর অল♍ ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ এবং শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা নিশান উত্তোলন হয়েছিল। আর তা থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে🥂 যে এবছর ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির মতুয়া ধর্ম মহামেলা কী আলাদা আলাদা ভাবে উদযাপিত হবে? তখন মমতা বালা ঠাকুর জানিয়েছিলেন, অতীতের ইতিহাস ভুলে, মতুয়ারা সকলে একত্রিত হয়ে মেলায় সামিল হোক সেটাই চান তিনি। অন্যদিকে, শান্তনু ঠাকুরের অল ইন্ডিয়া মতুয়া সংঘের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, দুই পরিবার একত্রিত হয়ে মেলা করবে এটাই শোনা যাচ্ছে।