মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রের ভাষা নিয়ে পড়ুয়াদের কিছুটা ধন্দ তৈরি হতে পারে। এমনই মনে করছেন কলকাতার হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক তরুণ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, এবার এমন কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়েছে, যেগুলি বুঝতে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছুটা অসুবিধা হতে পཧারে। তবে সার্বিকভাবে ভালোই প্রশ্ন হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নের ক্ষেত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যে পথে হেঁটেছে, এবারও সেই ধারা বজায় রাখা হয়েছে বলে জান𝔉িয়েছেন হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক। তাঁর কথায়, ‘সোজাই বলব। গত চার-পাঁচ বছর ধরেই মাধ্যমিকের জীবন বিজ্ঞান প্রশ্নে পরিবর্তন এসে গিয়েছে। অনেকটা সিবিএসইয়ের বোর্ড পরীক্ষার ধাঁচে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারও প্রায় সেই ধাঁচেই প্রশ্ন করা হয়েছে।’
জীবন বিজ্ঞানের কোন কোন প্রশ্নে প্যাঁচ আছে?
সেই বিষয়টি আরও ব্যাখ্যা করে হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরের এমসিকিউ দেখে যারা পড়েছে, তাদের সমস্যা হবে না। দুইয়ের দাগের প্রশ্নের ক্ষেত্রে কিছুটা প্যাঁচ আছে। কোনও বিষয় নিয়ে পরীক🌸্ষার্থীদের বোধ কতটা হয়েছে, সেটা যাচাই করা হয়েছে। শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা দিয়েই ওই সব প্রশ্নের উত্তর লেখা সম্ভব হবে না। অর্থাৎ শুধু পাঠ্যবই পড়েই উত্তর দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কোন কোন প্রশ্নের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে?
তাহলে কোন বিষয়গুলি বুঝতে অসুবিধা হবে? হিন্দু স্কুলের জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক বলেছেন, ‘ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে যদি বলি, তাহলে প্রশ্নের কয়েকটি জায়গা বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। বংশগতির (জেনেটিক্স) অধ্যায় থেকে য♛ে প্রশ্ন এসেছে, তাতে ভাষাগত কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেগুলি পড়ুয়াদের বুঝতജে কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।’
শুধু সেটাই নয়, আরও কয়েকটি প্রꦗশ্নের ক্ষেত্রে এরকম ভাষার সমস্যা আছে। তিনি জানিয়েছেন, ৩.১৪ দাগের প্রশ্নটা নিয়ে পড়ুয়াদের কিছুটা সমস্যা হতে পারে। জিনোটাইপের জিনোটাইপিক অনুপাতের বিষয়টি বুঝতে পড়ুয়াদের কিছুটা বেগ পেতে হবে। এখানে ভাষা কিছুটা সরল করলে ভালো হত। ৩.৩ দাগের প্রশ্নটাও কিছুটা ঘুরিয়ে এসেছে।
মানস মানচিত্র বিষয়টা আসলে কী?
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মানস মানচিত্র দেওয়া হয়েছে - এগুলো আমাদের বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের কিছুটা🎐 অচেনা ভাষা। আদতে মানস মানচিত্র বিষয়টা হল মাইন্ড ম্যাপিং। এরকম ভাষা বোঝাটা কিছুটা জটিল হতে পারে। পরীক্ষার মধ্যে এরকম ভাষা বুঝে কতﷺটা ঠিকভাবে উত্তর লিখতে পারবে পড়ুয়ারা, তা নিয়ে একটু ধন্দ আছে।’