৮ মার্চ নারী দিবসের দিনই শুরু হয়েছে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ সিজন ১৩। প্রত্যেকবারের মতো এবারও এই ওশো ঘিরে রয়েছে নানান চমক। এবার বিচারকের আসনে রয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত, শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, কৌশানি মুখোপাধ্যায় ও অঙ্কুশ হাজরা। আর প্রত্যেকবারের মতো এবার মহাগুরুর আসনে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিভিন্ন বয়সের ট্য়ালেন্টেড প্রতিযোগীদের নিয়ে আর শুরু থেকেই জমজমাট এই শো।
তবে আপাতত চলছে শোয়ের গ্র্যান্ড অডিশন পর্ব। আর সেখানেই প্রতিযোগী হয়ে হাজির উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার 🍒বাসিন্দা অহনা। যার বয়স মাত্র ৭। শোয়ের বিচারকদের সামনে 'পিয়া তু' গানে জমকালো পারফরম্যান্স দিতে দেখা যায় এই ছোট্ট শিল্পীকে। অহনার সঙ্গে অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তাঁর বাবা-মাকেও। অহনার মা জানান, ‘আমার নাচ শেখার খুব ইচ্ছে ছিল, তবে পারিনি। তাই ওকে দিয়েই সেই ইচ্ছে পূরণের চেষ্টা করছি।’ এরপরই মহাগুরু মিঠুন তাঁকে বলেন, ‘মেয়ে সিলেক্ট হলে কিন্তু নাচ করতে হব♔ে।’
শোয়ের প্রমোতে দেখা যাচ্ছে, এরপরই অহনার মা মঞ্চে উঠে ꦕমহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে নাচেন, সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামীও।
এদিকে ডান্স বাংলা ডান্সে ইতিমধ্যেই নজর কাড়ছে ব্যারাকপুরের মূক ও বধির শিল্পী পূজা হালদার। তিনি ইতিমধ্যেই অডিশন রাউন্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সেকথাই বলছে। নাচের প্রশিক্ষক ময়ূখ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এই মানুষটির জন্যই আমি আজ এখানে…’। ফের লেখেেন, ‘স্বপ্নরা সত্যি হয়। ছোটবেলায় দেখা স্বপ্ন থেকে সেটিকে বাস্তবে পরিণত করা। এই সফর আসলেই অসাধারণ। থ্যাঙ্ক ইউ স্যার আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য। বাংলার সবচেয়ে বড় ডান্স রিয়েলিটি শো ডান্স বাংলা ডান্সে নির্বাচিত হওয়া সম্ভব হত না, আপনার গাইডেন্স ছাড়া। এই 🗹কৃতজ্ঞতা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়।’
প্রসঙ্গত, ডান্স বাংলা ডান্সে এসে মেয়ে পূজার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তাঁর মা। বলেন, মূক-বধির বলে জন্মের পর মেয়েকে অস্বীকার করেন তাঁর বাবা। এꦓরপর লড়াই করে পূজাকে একা হাতে মানুষ করেছেন তাঁর মা। তবে এত কষ্ট, এত সমস্যাতেও এক ফোঁটা কমে যায়নি ছোট্ট পূজার নাচের প্রতি ভালোবাসা।
এদিকে পূজা ছাড়াও ডান্স বাংলা ডান্সে প্রতিযোগী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন গোবরডাঙার খুদে শিল্পী অဣহনা। এবার দেখা যাক এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হিসাবে উ🗹ঠে আসে আর কেকে?