কাশ্মীরকে বলা হয় 'পৃথিবীর স্বর্গ’ আর এই স্বর্গের একটি অনিন্দ্যসুন্দর প্রাকৃতিক বিস্ময় হল বাদামওয়ারি বাগান (Badamwari Garden)। শ্রীনগরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত এই বাগান পর্যটকদের জন্য এক অপূর্ব আকর্ষণ, বিশেষ করে বসন্তকালে যখন গোটা বাগান রঙিন বাদাম🌌ি ফুলে ছেয়ে যায়। গ্রীষ্🍨মের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গা।
বাদামওয়ারি বাগানের ইতিহাস প্রাচী🥂ন। এটি একসময় মুঘল সম্রাটদের প্রিয় বিনোদনস্থল ছিল। কথিত আছে যে, সম্রাট জাহাঙ্গীরও এই বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে আসতেন। কালের বিবর্তনে বাগানটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু ২০০৮ সালে কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগ এটি পুনরুদ্ধার করে পর্যটকদের জন্য উন꧃্মুক্ত করে।
বসন্তে (মার্চ-এপ্রিল) বাদামওয়ারি বাগান প্রকৃতির রঙে সেজে ওঠে। হাজার হাজার বﷺাদাম গাছে গোলাপি ও সাদা ♚ফুল ফোটে, যা দেখতে ভ্রমণার্থীরা ভিড় জমায়। বাগানের মাঝখানে রয়েছে মনোরম লন, ফোয়ারা ও পথচারীদের জন্য হাঁটার সুব্যবস্থা। চারপাশে হিমালয়ের পাহাড় ও নীল আকাশের মাঝে বাগানটির দৃশ্য মনে দাগ কেটে যায়।
আরও পড়ুন - Tea tourism: চা বাগানের মাঝে 💎বসে চা পান,পর্যটকদের আকর্ষণ ꦛডুয়ার্সের 'টি লাউঞ্জ'
বাদামওয়ারি বাগান শুধু প্রকৃতি প্রেমিকদেরই নয়, শিল্পী, ফটোগ্রাফার এবং পরিবার নিয়ে আসা পর্যটকদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এখানে পিকনিকের ব্যবস্থা, স্থানীয় কাশ্༺মীরি খাবারের স্টল এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাগানের কাছেই রয়েছে ঐতিহাসিক শাহ-ই-হামদান মসজিদ ও ঝিলাম নদী, যা পরিদর্শন করতে পারেন পর্যটকরা।
এই বাগান শ্রীনগরের বুদ শাহ এলাকায় অবস্থিত। শহরের যে কোনও প্রান্ত থেকে ট্যাক্সি বা অটো রিকশায় সহজেই আসা যায়। এপ্রিল থেকে জুন মাস বাগানট𓃲ি পরিদর্শনের সর্বোত্তম সময়।
আরও পড়ুন - ট্যুরিস্ট গাইড কোর্স চালু করছে রাজ্য পর্যটন দফতর, কেমন করে করা যাবে পাঠ্যক্রম🍷?
বাদামওয়ার𓆏ি বাগান কাশ্মীরের সংস্কৃতি ও প্রকৃতির মেলবন্ধন। এটি শুধু একটি বাগানই নয়, কাশ্মীরের গর্ব ও পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। প্রকৃতির মাঝে শান্তি খুঁজে পাওয়ার✨ জন্য এই বাগান এক আদর্শ স্থান। তাই এবার গরমের ছুটি কাটাতে চলে আসতে পারেন এখানে।