বাংলাদেশে তুঙ্গে চর্চায় আওয়ামি লিগ। ‘রিফাইন্ড আওয়ামি লিগ’ বা 'আওয়ামি লিগ পুনর্বাসন' ইস্যুতে সরগরম বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি হাসনাত আবদুল্লাহ এক পোস্ট ঘিরে তুঙ্গে ওঠে চর্চা। সেখানে সেনাপ্রধানের প্রসঙ্গ আন🙈েন হাসনাত। সেই পোস্টের পরই আসে একই পার্টির সারজিস আলমের পোস্ট। এদিকে, সারজিস, হাসনাতদের বক্তবꩲ্যে মুখ পুড়েছে বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টির। এবার সদ্য, পার্টির নেতা নাহিদ ইসলাম 'আওয়ামি লিগ পুনর্বাসন' ইস্যুতে মুখ খুলে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন,' সম্প্রতি ফ্যাসিস্ট আওয়ামি লিগের পুনর্বাসনের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র বিভিন্ন দিকে চলছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি এ বিষয়ে সুস্পষ্ট অবস্থান ব্যক্ত করেছে।' তিনি আরও বলেন,'কোনোভাবেই আওয়ামি ൩ফ্যাসিজমকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জাতীয়🧸 নাগরিক পার্টি তা রুখে দেবে।' এককালে বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের উপদেষ্টা থাকা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামি ফ্যাসিজমের বিচার যদি নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে আরেকটি স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদ যে দেখব না সেই নিশ্চয়তা পাব না। নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান বিচার দেখা আমাদের দাবি।’
এদিকে, কিছুদিন আগে, হাসনাত আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, গত ১১ মার্চ তিনি এবং দলের আরও দু’জনকে সেনা ক্যান্টনমেন্টে ডেকে নিয়ে গিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। হাসনাত দাবি করেছিলেন যে, সেনপ্রধান ওয়াকার-উজ়-জ়ামান নতুন রূপে আওয়ামি লিগকে ফেরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। এরপর সদ্য এক বক্তব্যে বাংলাদেশের এনসিপির হাসনাত আবদুল্লা বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে গত ৫ আগস্ট সেনাবাহিনী আমাদের ছাত্র-জনতার পাশে ছিল… আমরা বলব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কখনও জনগণের বিরুদ্ধে যাবে না। বাংলাদেশের সেনা প্রদানকে নিয়ে হাসনাতের আগের বক্তব্যের পর দেশে ঝড🎐় উঠতেই এই নয়া বার্তা দিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন হাসনাত আবদুল্লা।
এদিকে, বাংলাদেশের এনসিপির আরও এক নেতা সারজিস আলও কেড়েছেন শিরোনাম। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সেনা প্রধানকে নিয়ে হাসনাত আবদুল্লার বক্তব্যের পর তাঁরই দলের সারজিস আলম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে সারজিস লিখেছিলেন,'যে ভাবে এই কথাগুলো ফেসবুক স্টেটাসের মাধ্যমে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি।' সারজিস তাঁর সেই অবস্থানের পর তেঁতুলতলা এবার এক ভাষণে বক্তব্য রাখার মাঝে বলেন, যে কোনও নেতার যে কোনো ✨বিষয়ে সরাসরি সমালোচনা করার মনমানসিকতা থাকতে 🍃হবে। নেতা একটা মানুষ, কোনো ফেরেশতা নন, ভুল করলে তার ভুল ধরিয়ে দিতে হবে। এরই সঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা ভুলটা ধরিয়ে যদি না দেন, তাহলে তারা ধীরে ধীরে আবার স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। আবার ক্ষমতার অপব্যবহার করবে। প্রসঙ্গত, সারজিসের এই বক্তব্যে কোনও সুপ্ত ইঙ্গিত রয়েছে কী না, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। আপাতত বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই তিন নেতার বক্তব্য কাড়ছে শিরোনাম।