গত ৩ এপ্রিল রাতে গুজরাটের জামনগরের কাছে জাগুয়ার যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ভারতীয় বিমানবাহিনীর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিদ্ধার্থ যাদব। দুর্ঘটনার মাত্র ১০ দিন আগেই বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল তাঁর। ২৩ মার্চ হয়েছিল তাঁর বাগদান। তাঁর পরিবার সবেমাত্র তাঁদের বিয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছিল। আর এর মাঝেই অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে নিজের প্রাণ হারালেন সিদ্ধার্থ। (আরও পড়ুন: ꦑবিদ্রোহ-অভ্যুত্থানের চেষ্টার মাঝে প্রতিবেশী দেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে মোদী)
আরও পড়ুন: 🔯ওয়াকফ সংশোধনী নিয়ে সংসদে জয়, তবে বিজেপির সামনে অপেক্ষা করছে বড় পরীক্ষা
রিপোর্ট অনুযায়ী, সিদ্ধার্থ নিজের কো-পাইলটকে বিমান থেকে ইজেক্ট করতে সাহায্য করেন। এদিকে বিমানটিতে যখন যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছিল, তখন নাকি সেটি জনবহুল এলাকার ওপরে ছিল। সেখান থেকে বিমানটিকে দূরে নিয়ে যান সিদ্ধার্থ। সেই সময় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্র্যাশ করে। প্রাণ হারান সিদ্ধার্থ। তবে সেই সময় যদি সিদ্ধার্থ নিজেও ইজেক্ট করে যেতেন, তাহলে বিমানটি জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ত এবং অনেক সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারত। (আরও পড়ুন: ♍দিনহাটায় বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ পাচারকারী, উদয়নের 'অন্য দাবি' ঘিরে বিতর্ক)
আরও পড়ুন: ♑রাজ্যসভাতেও ওয়াকফ সংশোধনী, বিল নিয়ে মুসলিমদের বার্তা দিলেন মোদী স্বয়ং, বললেন...
এই দুর্ঘটনায় সিদ্ধার্থের সঙ্গে উড়ানে ছিলেন মনোজ কুমার সিং। আপাতত তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উল্লেখ্য, ৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জামনগর এয়ারফিল্ড থেকে জাগুয়ার বিমানটি নিয়মিত সর্টির জন্যে উড়ে গিয়েছিল। তে টেকঅফের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। জামনগর শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে সুবর্দা গ্রামের কাছে একটি খোলা মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয় এবং তাতে আগুন ধরে যায়। কো-পাইলট বেঁচে গেলেও সিদ্ধার্থ যাদব প্রাণ হারান সেই দুর্ঘটনায়। (আরও পড়ুন: ♈ইউনুসের উস্কানির আবহে উঠেছে বাংলাদেশ ভাগের দাবি, এরই মাঝে 'কাজ' শুরু ডোভালের?)
ꦬসিদ্ধার্থ হরিয়ানার রেওয়ারি জেলার মাজরা ভালখি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সালে বায়ুসেনায় যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে তিনি এনডিএ থেকে পাশ করেছিলেন। তাঁর বাবা সুশীল কুমার একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএফ কর্মী। তাঁর ঠাকুরদা রঘুবীর সিং এবং প্রপিতামহ উভয়ই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। সিদ্ধার্থের বাবা সুশীল যাদব রাত ১১টা নাগাদ কম্যান্ডিং এয়ার অফিসারের কাছ থেকে এই দুঃসংবাদটি পান। সিদ্ধার্থের বাবা বলেন, 'আমি আমার ছেলের জন্য খুব গর্বিত; অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে নিজের প্রাণ হারিয়েছে সে। কিন্তু এটা আমাদের জন্যে খুব দুঃখের বিষয়। কারণ ও আমার একমাত্র ছেলে ছিল।'