১৯৭২ সালের মিউনিখ গেমস থেকে অলিম্পিক্সে একটানা দেখা যায় রিকার্ভ তিরন্দাজি। 🉐তবে ২০২৮ সালে প্রথমবার অলিম্পিক্সে দেখা যাবে কম্পাউন্ড আর্চারি। যদিও লস অ্যাঞ্জেলেসে রিকার্ভের মতো কম্পাউন্ড তিরন্দাজিতে ৫টি ইভেন্ট দেখা যাবে না। শুধুমাত্র মিক্সড টিম ইভেন্টের একটিমাত্র স্বর্ণপদকের জন্য লড়াই চালাবেন কম্পাউন্ড আর্চাররা।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা জানা দরকার যে, রিকার্ভ আর্চারি ও কম্পাউন্ড আর্চারির মধ্যে তফাৎটা কী? দুই ধরণের তিরন্দ🍸াজির ইতিহাস ও পয়েন্ট সিস্টেমে ♔চোখ রাখা যাক।
রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড আর্চারির তফাৎ কী?
রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড আর্চারর তফাৎ মূলত 🥀ধনুকে। তির কার্যত একই রকমের। তবে ধনুকের ধরণ আলাদা বলে সেই অনুযায়ী তিরন্দাজির ২টি ইভেন্টের নামকরণ করা হয়েছে। দু'টি ক্ষেত্রেই তিরন্দাজদের তির টেন𝔍ে টার্গেটে হিট করতে হয়। তবে রিকার্ভের ধনুকের গঠন অনেক সরল। ট্র্যাডিশনাল ধনুকের মতো রিকার্ভেও দুই প্রান্ত নীচের দিকে বাঁকানো ও মাঝের অংশ অর্ধবৃত্তের উপরের দিকের মতো হয়। কম্পাউন্ড ইভেন্টে ব্যবহৃত ধনুকের মাঝের অংশ বেঁকে নীচের দিকে থাকে।
রিকার্ভের ক্ষেত্রে তির টানার জন্য তিরন্দাজের তুলনায় বেশি পেশিশক্তির দরকার হয়। পরে দুই আঙুলের ফাঁকে🌞 ধরা তির ছেড়ে টার্গেটে হিট করা হয়। এক্ষেত্রে নিশানা নির্ধারণের সুবিধার জন্য পিন পয়েন্ট বা ছোট্ট উইন্ডোর ব্যবহার করা হয়। রিকার্ভের ধনুকে তি𝓡রন্দাজের প্রয়োজন মতো আতশ কাচ ব্যবহার করা যায় এবং এক্ষেতে ধনুক ছাড়ার জন্য সুইচ ব্যবহার করা হয়। কম্পাউন্ডে নিশানা নির্ধারণ তুলনায় সহজ হতে পারে, তবে ধনুক তুলনায় ভারি হয়।

১৯৩১ সাল বিশ্ব তꦅিরন্দাজি সংস্থা তৈরির পর থেকেই প্রথাগত রিকার্ভ আর্চারিই দেখা যেত সমস্ত প্রতিযোগিতায়। ১৯৬০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কম্পাউন্ড আর্চারির আবিষ্কার হয়। ১৯৯৫ সালে বিশ্ব তিরন্দাজি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার অন্তর্ভুক্ত করা হয় কম্পাউন্ড ইভেন্ট। সেই থেকে অলিম্পিক্স ছাড়া সব বড় টুর্নামেন্টেই রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড, তিরন্দাজির উভয় ইভেন্ট আয়োজিত হয় এবং পদক সংখ্যাও থাকে সমান।
কত দূরে থাকে টার্গেট?
রিকার্ভ আর্চারিতে টার্গে🌼ট থাকে তিরন্দাজের থেকে ৭০ মিটার দূরে। কম্পাউন্ড আর্চারিতে টার্গেট থাকে ৫০ মিটার দূরে। উভয় ক্ষেত্রেই পয়েন্টের জন্য টার্গেট বোর্ডে ৫টি রংয়ের ক্ষেত্র আলাদা করা থাকে। ১০ পয়েন্টের জন্য চিহ্নিত অংশ হলুদ রংয়ের হয়। রিকার্ভ আর্চারির ক্ষেত্রে টার্গেটের ব্যস হয় ১২২ সেন্টিমিটার। ১০টি রিংয়ের প্রতিটি হয় ১২.২ সেন্টিমিটারের। কম্পাউন্ড আর্চারির ক্ষেত্রে টার্গেটের ব্যস হয় ৮০ সেন্টিমিটারের। সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্টের জন্য মাঝের রিংয়ের ব্যাস হয় ৮ সেন্টিমিটার।

দুই ইভেন্টের নিয়ম-কানুন
রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড উভয় বিভাগেই যোগ্যতা অর্জন পর্বে ৭২টি তির ছুঁড়তে হয় প্রতিযোগিদের। সংগৃহীত পয়েন্টের নিরিখে ব্যক্তিগত বিভাগের মুখোমুখি লড়াই নির্🧔ধারিত হয়। উভয় বিভাগেই ব্যক্তিগত ম্যাচের ক্ষেত্রে ৫টি করে তিরের🐻 তিনটি করে সেট আয়োজিত হয়। অর্থাৎ, মোট ১৫টি করে তিরের লড়াই চলে এক্ষেত্রে। দুই প্রতিযোগি ১৫টি করে তির ছোঁড়ার সুযোগ পান।
দলগত বিভাগের ম্যাচের লড়াই চল꧃ে ২৪টি করে তিরের। ৬টি করে তিরের চারটি করে সেট আয়োজিত হয়। একটি দলে তিনজন করে তিরন্দাজ থাকেন। মিক্সড টিম ইভেন্টে প্রতি ম্যাচে লড়াই হয় ১৬টি করে তিরের। ৪টি করে তিরের একটি করে সেট আয়োজিত হয়।
তিরন্দাজির পয়েন্ট সিস্টেম
উ♔ভয় ইভেন্টেই ভিতরের রিংয়ের জন্য ১০ পয়েন্ট এবং পরবর্তী বাইরের রিংগুলির জন্য এক পয়েন্ট করে কমতে থাকে। রিকার্ভ আর্চারির ক্ষেত্রে সেট পয়েন📖্টে ফলাফল নির্ধারিত হয়। প্রতিটি সেট জয়ের জন্য ২ পয়েন্ট করে পাওয়া যায়। সেট পয়েন্ট সমান হলে ম্যাচ টাই-ব্রেকারে গড়ায়। কম্পাউন্ড ইভেন্টে সেট পয়েন্ট নয়, বরং সার্বিক পয়েন্ট সংখ্যার নিরিখেই বিজয়ী নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রেও পয়েন্ট সংখ্যা সমান হলে লড়াই টাই-ব্রেকারে গড়ায়।