⛎ পাকিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এখনও ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই অনড় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার৷ সংসদে দাঁড়িয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবার রাজ্যসভায় আলোচনার সময় জম্মু ও কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ এবং মাওবাদ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান এবং নীতির বিস্তৃত ব্যাখ্যা দিয়েছেন অমিত শাহ।
🐎আরও পড়ুন-Meerut murder case: খুনের আগে স্বামী-মেয়ের সঙ্গে উদ্দাম নাচ মুসকানের! ভাইরাল ভিডিয়ো
♏রাজ্যসভার আলোচনায় শাহ জানান, 'উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও অনুপ্রবেশ এখনও একটা বড় সমস্যা। যদিও উরি বা পুলওয়ামার মতো যে কোনও আক্রমণের জরুরি জবাব দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।' একইসঙ্গে জঙ্গি দমনের বিষয়ে পূর্বতন সরকারগুলি ‘দুর্বল নীতি’ প্রণয়ন করেছিল বলে কটাক্ষ করেছেন অমিত শাহ।
𝔍স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, '২০১৯ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরেই বর্তমানে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁদের সরকারি নীতির কারণেই উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদে মৃত্যুর সংখ্যা ৭০ শতাংশ কমে এসেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকার ভারতের সংবিধান প্রণেতাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। দেশে কেবল একজন প্রধানমন্ত্রী, একটি সংবিধান এবং একটি পতাকা থাকতে পারে। সেখানে জি২০ সম্মেলন হচ্ছে, সন্ধ্যায় সিনেমা হল খোলা থাকছে।'
☂তিনি আরও বলেন, ১০ বছর আগেও যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের নায়কোচিত সম্মান দেওয়া হত, সেখানে এখন জঙ্গি অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের আত্মীয়দের সমস্ত সরকারি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেওয়ার জন্য। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে উপত্যকায় ৭,২১৭টি সন্ত্রাসবাদের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সংখ্যা কমে ২,২৪২-এ নেমে এসেছে। এই অঞ্চলে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত, ৪০,০০০ সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং ১.৫১ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। যুবকদের প্রশিক্ষণের জন্য দক্ষতা ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে।
♛আরও পড়ুন-Meerut murder case: খুনের আগে স্বামী-মেয়ের সঙ্গে উদ্দাম নাচ মুসকানের! ভাইরাল ভিডিয়ো
♓রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, ‘সারা বিশ্বে একমাত্র দু’টো দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েল নিজের দেশের সীমান্ত নিয়ে কড়া অবস্থান নেয়। এবার ভারতও সেই তালিকায় শামিল হতে চলেছে। ভারতও নিজের দেশের সীমান্তরক্ষায় একচুলও রফা করার পক্ষপাতী নয়। পাশাপাশি ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ ধুয়েমুছে সাফ করে দেওয়ারও অঙ্গীকার করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷