মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিলংয়ে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে খেলতে নামছে ভারত বাংলাদেশ। পরের রাউন্ডের যোগ্যতা অর্জন করতে গেলে মেন ইন ব্লুজদের এই ম্যাচগুলো থেকে তিন পয়েন্ট তুলতেই হবে। ম্যানোলো মার্কুয়েজের দল গত ম্যাচেই মালদ্বীপের বিরুদ্ধে জয়ে ফিরেছে ১ বছরের বেশি সময় পর। বাংলাদেশের বিরুদ🅘্ধে নামার আগে ভারতীয় দলের কোচ বলছেন, 🍌‘ এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমাদের যদি পরবর্তী পর্বে কোয়ালিফাই করতে হয় তাহলে আমাদের শীর্ষে থাকতে হবে। চারটে দলের মধ্যে সবার ওপরে থাকতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে। আমরা এর আগে অনেক ম্যাচেই সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু গোলে কনভার্ট করে উঠতে পারিনি। আইএসএলে অধিকাংশ ক্লাবই বিদেশি স্ট্রাইকার নিয়ে খেলে।’
লড়াইটা ১১ জনের সঙ্গে ১১ জনের
সাংবাদিক সম্মেলন🍒ে এসে ম্যানোলো আরও বলেন, ‘আমি আমার কেরিয়ারে আমি খুবই ওপেন। আমি কারোর সঙ্গে কথা বলতে পারলে নিঃসন্দেহে বলি। গত তিন বছর ধরেই বাংলাদেশ একই কোচ ধরে রেখেছে, তাঁদের ফুটবলাররাও খুব একটা বদলায়নি। পাঁচ ছয় মাস পরেও তাঁদের দলে তেমন কোনও পরিবর্তন নেই, এটা অত্যন্ত জরুরি যে কোর টিম থাকা। তবে আমি আশা করছি এই ম্যাচে আমরা জিতꦚব। খেলাটা ১১ জনের সঙ্গে ১১ জনের হবে। সব ম্যাচই আমার কাছে একরকম। সেটা বাংলাদেশ হোক বা মালদ্বীপ। আমরা প্রস্তুতি করেছি, যাতে আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারি। সেটা বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর বা হংকং, যেই দলই হোক না কেন।’
হামজাকে নিয়ে আশঙ্কায় ম্যানোলো
হামজা চৌধুরীকে নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ফ্যানরা এমন করছেন যেন তিনি মেসি বা রোনাল্ডো। তবে বাস্তবিক ক্🗹ষেত্রে যে তাঁর থেকে বিশাল কিছু আশা করাটা উচিত নয়, সেটাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ। স্প্যানিশ ম্যানোলোর মতে, ‘এশিয়ান ফুটবলে হামজার মতো ফুটবলারদের খেলতে আসা খুবই ভালো। ও খুব ভালো প্লেয়ার, প্রিমিয়র লিগেও খেলেছে। তবে মাত্র ১ সপ্তাহ মতো দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছে ও। তাই আদৌ কতটা কাজে লাগাতে পারবে বা এই পরিবেশ এবং দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে, সেই নিয়ে আমার নিজেরই সন্দেহ রয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য ওর আসা খুবই ভালো দিক। বাংলাদেশ দল অনেক প্রস্তুতির সময় পেয়েছে। ওরা🍬 সৌদি আরবেও ট্রেনিং করেছে, যদিও জাতীয় দলের কোচ হিসেবে দলকে তৈরি করার জন্য খুব বেশিদিন সময় পাওয়া যায় না। ’
সন্দেশ বলছেন, সুনীলই বাংলাদেশের ত্রাস
এরপরই ম্যানোলো মার্কুয়েজ জানিয়ে দেন কেন তিনি সুনীল ছেত্রীকে অবসর ভেঙে দলে ফিরতে বলেছেন, কারণ দলের স্ট্রাইকাররা বেশ কয়েকটা ম্যাচেই গোল পায়নি। আর আক্রমণে সুনীলের থাকাটা অনেকটাই দলকে সাহায্য করে। এরপর সুনীলের সতীর্থ সন্দেশ ঝিংগান বলেন, ‘সুনীল ছেত্রীর দলে ফেরা খুবই ভালো। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওর থাকা একটা আতঙ্ক তৈরি করবে। তবে শুধু সুনীল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নয়, যেই দলের বিরুদ্ধেই খেলꦿুক না কেন, ওর থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। আর ও দলে ফেরায় অনেক কথা বলতে পারি ওর সঙ্গে। আশা করব ওর দলে আসা আমাদের সমৃদ্ধ করবে এবং ভালো খেলতে সাহায্য করবে। ’